রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় পবিত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর হাট গুলো জমে উঠেছে ক্রেতা বিক্রেতার দরকষাকষিতে মুখর স্থানীয় বাজার গুলো।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্গাপুরে
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ছোটোবড়ো কয়েকটি হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। যায় মধ্যে সবথেকে বড়ো সিংগা ও কানপাড়া হাট সেখানে বিভিন্ন আকারের গরু, ছাগল, ভেড়া উঠছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গেটেই মোতায়েন রয়েছে আনসার যাঁরা সকলের মাস্ক নিশ্চিত করছেন ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে হাটে প্রবেশ করাচ্ছেন। আবার মনিটরিং আনসার সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। গরু ও ছাগলের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বিশেষ করে সকালের দিকে ছাগল ও দুপুর থেকে গরুর হাট জমে উঠেছে।
ক্রেতা সামছুল হক জানান,
পবিত্র কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গরু কিনতে এসেছি শুরুতে দাম একটু কম ছিলো কিন্তু লকডাউন খুলে দেওয়ায় দাম উপরে দিকে উঠতে শুরু করেছে। সঠিক দাম ও সুন্দর একটি গরু কিনবো।
ক্রেতা বাবর জানান, খাসি কিনলাম দাম ঠিকঠাক রয়েছে অনেক ছিলো সেই জন্য পছন্দ মতো কিনতে পেরেছি।
বিক্রেতা জামাল জানায়, অনেকে
গরুর দাম শুনে চলে যাচ্ছে তুলনামূলক ক্রেতা কম। বুঝতে পারছি না সঠিক দাম পাবো কিনা। শঙ্কা থাকছে এই করোনাকে নিয়ে কখন বাজারে ধস নামায় আল্লাহ জানে।
সবমিলিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে দুর্গাপুরে। উপজেলায় প্রায় ১৭,২০৪টি কোরবানি উপযোগী গরু রয়েছে। স্থানীয় বাজারের ৪ হাজারের মতো চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গরুগুলো বিক্রয়ের জন্য নেওয়া হয় যায় বিশেষ অংশ এই হাট গুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়। অপরদিকে উপজেলায় ৭৬০০০ হাজার ছাগল রয়েছে। এগুলো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
সবমিলিয়ে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ৭৫% গবাদিপশু দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহসিন মৃধা জানান, অতিরিক্ত দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সেই সাথে সার্বক্ষণিক মাস্ক ও শাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে হাটে প্রবেশ করানো হচ্ছে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।